কুয়েতে কাজে যেতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে বাড়তি টাকা আদায়

কুয়েতে যেতে আগ্রহিদের অপেক্ষা
ঢাকাঃ কুয়েতে কাজে যেতে আগ্রহী বাংলাদেশি কর্মীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। কোনধরণের ঘোষণা ছাড়াই হঠ্যাত করে শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে যেতে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় একেকজনের কাছ থেকে অতিরিক্ত সাতহাজার সাতশো টাকা নেয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আগস্ট মাস থেকে কুয়েতে যেতে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অতিরিক্ত টাকা নেয়ার পাশাপাশি শুরু হয়েছে নানা ধরণের অনিয়ম ও ভোগান্তি।  

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনান্য দেশে কাজে যাওয়ার জন্য  গালফ-কো অপারেশন কাউন্সিল বা জিসিসি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান গামকার মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হয়। গামকা তাদের অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার গুলোর মাধ্যমে এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে থাকে। জিসিসি নিয়ম অনুয়ায়ী  স্বাস্থ্য পরীক্ষায় একজন ব্যাক্তিকে সবমিলিয়ে চার্জ দিতে হয় পাচহাজার আটশো টাকা। তবে একটি চক্র শুধুমাত্র কুয়েতের যেতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গামকারই নতুন রুপ উইনস্টোন নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে আদায় করছে বাড়তি টাকা। যেখানে কুয়েতে যেতে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নেয়া হতো পাচহাজার আটশো টাকা সেখানে নতুন এই প্রতিষ্ঠানে একইধরণের টেস্টে নেয়া হচ্ছে তেরহাজার পাচশো টাকা।

লাহুয়ার রহমান
তবে গামকা কতৃর্পক্ষের দাবি কুয়েতে যেতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য উইনস্টোন নামে যে প্রতিষ্ঠানের উদ্ভব হয়েছে তার সঙ্গে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। জানতে চাইলে গামকার ঢাকা অফিসের জেনারেল ম্যানেজার লাহুয়ার রহমান বলেন, আমরা এধরণের একটি প্রতিষ্ঠানের কথা শুনেছি, আমরা পরিস্কার করতে চাই এর সঙ্গে গামকার সম্পর্ক নেই। গামকার এধরণের কোন প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেয়ার এখতিয়ারও নেই। আমরা আগে যেমন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যেতে জিসিসি অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারগুলোর মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাচহাজার আটশো টাকা নিতাম এখনও তাই নিচ্ছি।এরমধে পাঁচ হাজার টাকা মেডিকেল ও আটশ টাকা জিসিসি অনলাইন ফি

তাহলে উইন্সোটন নামে প্রতিষ্ঠানটি কাদের? খোজ নিয়ে জানা গেল বাংলাদেশিদের  সহায়তায় আগস্ট মাসের একতারিখ থেকে ঢাকায় নিজেদের কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যার সঙ্গে জড়িত ঢাকায় কুয়েত দূতাবাসের একটি সিন্ডিকেটজনশক্তি রপ্তানিকারকরা বলছেন, তাদের দূতাবাস থেকে একটি চিঠি দিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বলা হয়েছে। তাই তারা কুয়েত গমনেচ্ছু কর্মীদের বনানীতে আউয়াল টাওয়ারে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটিতে পাঠাচ্ছেন। এজন্য আগের চেয়ে সাতহাজার সাতশো টাকা বেশি অর্থ্যাৎ ১৩হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হচ্ছে

প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা? কিভাবে তারা আগের মতো একই ধরণের টেস্ট করার জন্য বাড়তি টাকা নিচ্ছে? এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার জানিয়েছেন তারা এ বিষয়ে অবগত নন। এইধরণের অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রণালয় খোজ নিচ্ছে।এদিকে প্রতারণার দায়ে এরিমধ্যে ফিলিপাইনসহ আরো কয়েকটি দেশে উইনস্টোন নামে এধরণের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে দেশগুলোর সরকার।

মন্তব্যসমূহ